যে বিশ্ববিদ্যালয়ে নোবেলজয়ীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা আছে

Spread the love

বিশ্বের নানা বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পড়ছেন বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরা। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কোনোটা শত বছরের পুরোনো, কোনোটায় শিক্ষক হিসেবে আছেন একাধিক নোবেলজয়ী অধ্যাপক। স্বনামধন্য এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার অভিজ্ঞতা কেমন? পড়ুন যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির পিএইচডি শিক্ষার্থী মাসুমা মল্লিকার লেখা।

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১৬: ০৫

যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলির পিএইচডি শিক্ষার্থী মাসুমা মল্লিকাছবি: মাসুমা মল্লিকার সৌজন্যে

ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (আইইউটি) থেকে ব্যাচেলর করে বার্কলিতে পড়তে আসি। প্রথমে মাস্টার্স, এখন পিএইচডি।

স্নাতকের সময় থেকেই দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে আগ্রহী ছিলাম। সেই সময় থেকেই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থেকেছি, শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাজ নিয়মিত অনুসরণ করেছি। ধাপে ধাপে প্রস্তুতি নিয়েছি। শেষ পর্যন্ত বার্কলিতে সুযোগ পাওয়াটা ছিল স্বপ্ন পূরণের মতো।

প্রথম দিনের অভিজ্ঞতা ছিল মিশ্র—একদিকে কিছুটা ভয়, অন্যদিকে প্রবল উৎসাহ। নবীনবরণ অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমাদের বিভাগের প্রধানের সঙ্গে দেখা হয়, যাঁর অনেক গবেষণা আইইউটিতে পড়ার সময় থেকেই আগ্রহ নিয়ে অনুসরণ করতাম। তাঁর সঙ্গে সরাসরি দেখা হওয়ায় ভীষণ অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। পরে ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার সময় এমন গবেষণাগার ও ভবন দেখেছি, যেখানে ওপেনহেইমারের মতো কিংবদন্তি বিজ্ঞানীরা কাজ করেছেন। এখানে নোবেলজয়ীদের গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য আলাদা জায়গা আছে।

ক্যাম্পাসের যে বিষয়টি আমাকে সবচেয়ে বেশি আকর্ষণ করেছে, তা হলো এখানকার সবাই খুব উদার। মুক্তচিন্তায় বিশ্বাসী। যেকোনো বিষয়ে মুক্তভাবে মতপ্রকাশের সুযোগ আছে, এমনকি যদি সেটি অপ্রাসঙ্গিক বা কিছুটা অবান্তরও হয়, তবু তা বলার পরিবেশ আছে। শুরুতে বিষয়টা আমাকে কিছুটা বিস্মিত করেছিল। পরে বুঝেছি, শেখার প্রক্রিয়ায় এটা অনেক সহায়ক।

Leave a Comment